এই শহরের ফাইবার অপটিক ক্যাবল-জালে আটকা পড়া মন,
সার্চ হিস্টরিতে জমে থাকা তোর নামের প্রতিটি বাইট।
নদীর ঢেউ এখন ডেটা স্ট্রিমের মতো ফুরিয়ে যায় পিক্সেল-তীরে,
আমার অশ্রুও অ্যানালগ, তবু ডিজিটাল রেইনে মিশে ধোঁয়াশা-ছাদে।
প্রতিটি ক্রাউডেড লেনে লুকিয়ে আছে সোলিটারি মোডের গল্প,
ম্যাপের রেড ব্লিপগুলি কাঁপে অদৃশ্য কম্পাসের উত্তাপে।
রাতের স্কাইস্ক্র্যাপারগুলো চোখে ঢালে বাইনারি কোডের নদী—
"বন্ধু" শব্দটার ফ্রিকোয়েন্সি হারিয়ে যায় ডার্ক ওয়েবের স্তব্ধতায়।
ক্লাউড স্টোরেজে আপলোড করা সেই ছেলেটার ছায়া,
যার রিয়েল-টাইম লোকেশন মুছে গেছে টাইমজোনের গ্যাপে।
আমার রেটিনায় প্রজেক্ট হয় তোর হোলোগ্রাম—
এক সেকেন্ডের আউটেজেই তুই হয়ে যাস 404 ইরর-কবর।
মিরর লেকের গভীরে ডুবে থাকা আয়না-আমির প্রশ্ন:
"তোকে খুঁজছি নাকি আমারই রিফ্লেকশনের ডিফ্র্যাকশন?"
মোবাইল স্ক্রিনের গ্ল্যাসে আটকে থাকা আঙুলের ছাপগুলো
লিখে যায় প্যারাডক্স—"যত খুঁজি, ততই আমার আইপি অ্যাড্রেসের গহ্বরে।"
হৃদয় এখন ডার্ক ম্যাটারের ল্যাবরেটরি,
যেখানে "মিসিং" আর "এক্সিস্ট" এর সমীকরণ জমে থাকে সাবলিমিনালে।
রাতের টাইমল্যাপে শুনি কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গেলড এক সিগনাল—
"যাকে খুঁজে বেড়াস, সে তো আমারই সাইলেন্ট মোডের রেজোন্যান্স..."